সাধারনভাবে নাইট্রিক অক্সাইড বৃদ্ধি করার উপায়


আজকে আমরা আলোচনা করব কিভাবে কোনো প্রকার ক্যামিক্যাল জাতীয় খাবার ছাড়াই নাইট্রিক অক্সাইডের উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায় । যেসকল খাবার গুলো খেলে আপনার দেহে নাইট্রিক অক্সাইডের উৎপাদন বৃদ্ধি করবে সেগুলো খুবই সহজলভ্য এবং সস্তা।






ডার্ক চকলেট
এই পর্যন্ত বেশ কিছু রিসার্চে দেখা গিয়েছে কোকো (বিশেষ করে কাঁচা যা কিনা কোনো রকম প্রসেসিং করা হয়নি ) নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদন বৃদ্ধি করে এবং রক্ত চাপ কমাতে সাহায্য করে ।


তরমুজ
তরমুজে আছে প্রচুর পরিমানে এমিনো এসিড L- Citrulline, যাকিনা নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদন বৃদ্ধির প্রাকৃতিক সেরা উপায় । এটি অনেক গবেষণা দ্বারা প্রমানিত। 
বেদানা / ডালিম 
আমাকে যদি কেউ প্রশ্ন করে নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্যে এবং টেস্টেস্টরেন লেভেল বাড়াতে কোন খাবার দরকার। তাহলে আমার উত্তর নিঃসন্দেহে বেদানা/ডালিম । 
আখরোট
আখরোট ভিটামিন 'ই'-তে পরিপূর্ণ যা ধমনি এবং টেস্টেস্টরেন লেভেলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও সম্প্রতি গবেষণায় দেখা যায় নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদন বৃদ্ধি এবং রক্তচাপ কম করতে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখে।  আখরোটে উচ্চ পরিমানে L-Arginine পাওয়া যায় , যাকিনা নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদন বৃদ্ধির সাথে সংযুক্ত। 
বাদামী চাল
চাল আমাদের দৈনন্দিন খাবারের একটি প্রধান উৎস। যার উপকারিতা সঠিকভাবে আমরা খুব কম মানুষই জানি। আমি নিজেও এটাকে তেমন একটা গুরুত্ব দেইনি, কিন্তু সম্প্রতি বেশ কিছু রিসার্চে দেখা যাচ্ছে বাদামী চাল উল্লেখযোগ্য মাত্রায় নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদন বৃদ্ধি করে থাকে। বাদামী চাল আমাদের ধমনির স্তর গুলোতে আরাম দেয় এবং উন্নত রক্ত প্রবাহতে সাহায্য করে। 
পালংশাক 
উদ্ভিদের মাঝে সবচাইতে বেশি নাইট্রেট থাকে পালংশাকে। আপনি যদি নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদন বৃদ্ধি করতে কিছু খুজছেন তাহলে পালক শাক হবে সব চেয়ে সস্তা এবং সবচেয়ে ভালো সব্জি। 
কমলালেবু
কমলা লেবু এবং কমলা লেবুর জুসে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন 'সি' । যা আপনার মুল্যবান নাইট্রিক অক্সাইড অনু গুলোকে রক্ষা করে। তারমানে হলো নাইট্রিক অক্সাইড বৃদ্ধি করতে হলে অবশ্যই ভিটামিন 'সি' এবং সাথে সাথে এন্টি অক্সিডেন্ট লাগবে। 

রসুন 
গবেষকদের মতে রসুন একটি শক্তিশালী এবং কার্যকরী (নাইট্রিক অক্সাইড সিন্থেস) এর জন্যে। এবং এটি ভায়াগ্রা হিসাবেও কাজ করে। গবেষণায় দেখা যায় উচ্চ রক্তচাপে রসুন  systolic and diastolic রক্ত চাপ ৮ পয়েন্ট পর্যন্ত কমে যায়। এটা সত্যি খুব গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ হিসাবে কাজে লাগে উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্যে। 
ব্ল্যাক টি 
অনেক গবেশনায় দেখা যায় ব্ল্যাক টি/ কালো চা নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদন বৃদ্ধি  করতে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখে এবং ধমনিকে নরম রাখে। ২০০৯ সালের একটি গবেশনায় দাবি করা হয়েছে "More black tea = More blood flow."
লাল মরিচ 
একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে মরিচ ডোজ নির্ভরশীল প্রভাব ফেলে। তার মানে আপনি যে পরিমান গ্রহণ করবেন তার উপরে আপনার নির্ভর করবে নাইট্রিক অক্সাইডের উৎপাদন। 
মধু 
প্রানি গবেষণায় দেখা গেছে মধু নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদন বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভুমিকা রাখে। 
পেস্তা বাদাম
পেস্তা বাদাম অন্যসব বাদামের মতোই উপকারী। পেস্তা বাদাম L-Arginine দিয়ে পরিপূর্ণ । এটি নাইট্রিক অক্সাইডের একটি অগ্রদূত, যা উল্লেখযোগ্যভাবে নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য পরিচিত। 
পাতা কপি 
পাতা কপি সহকারী -এনজাইম Q10 এর একটি খুব ভাল উৎস, যা নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদন বৃদ্ধি করে। পাতা কপি খুব উচ্চ নাইট্রেট সামগ্রী, পাতা কপি এটা খুব ভাল নাইট্রিক অক্সাইড বৃদ্ধিতে সহায়তাকারী। 


পেয়াজ 
পেয়াজ শুধুমাত্র টেস্টেস্টরেন লেভেলের জন্যে উপকারী নয়, ২টি ভিন্ন গবেষণায় নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদন বৃদ্ধি দেখানো হয়েছে। 

পেয়াজ ভিটামিন 'সি' এর একটি ভালো উৎস। যাকিনা আমরা উপরে আলোচনা করেছিলাম ভিটামিন সি ব্যাতিত নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। 

এছাড়াও পেঁয়াজ কুয়ারসেটিন নামক একটি যৌগ , Quercetin ভাল নাইট্রিক অক্সাইডের উৎপাদন মাত্রা বৃদ্ধির জন্য পরিচিত । 
চিংড়ি 
চিংড়ি খাবার তালিকায় L-Arginine এর সবচেয়ে ভালো উৎস। আমরা L-Arginine নিয়ে উপরে আলোচনা করেছি। L-Arginine একটি এমিনো এসিড এবং নাইট্রিক অক্সাইডের অগ্রদুত । 
চিনাবাদাম মাখন
বাদামে প্রচুর Arginine আছে, তাহলে বাদামের মাখনে কি থাকবে ? অবশ্যই Arginine  সমৃদ্ধ একটি সুস্বাদু মাখন Peanut butter। Peanut butter নিয়ে আর আলোচনা বাড়াবো না, আপনারা যারা সম্পূর্ণ Article পড়েছেন তারা খুব সহজেই বুঝে গেছেন চিনা বাদামের মাখনে কি পাওয়া যাবে !!!  

0 comments: